শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই চলচ্চিত্রের চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ২২ আগস্ট পরীমনির আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান আদালতে এই জামিন আবেদন করেন। এরপর আদালত জামিনের বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২১ আগস্ট তৃতীয় দফার রিমান্ড শেষে সকাল ১১ টা ৪৯ মিনিটের দিকে পরীমনিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে আদালত আনা হয়। তখন তাকে আদালতের গারদে রাখা হয়। এ সময় তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক কাজী মোস্তফা কামাল।
আবেদনে বলা হয়, আসামি পরীমনি মামলার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে। তার দেওয়া প্রদত্ত তথ্য উপাত্ত তদন্তের স্বার্থে যাচাই করে বাছাই হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলার তদন্ত সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। তাকে জামিন দিলে মুক্তি পেলে সে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারেন।
এ সময় টেকনিক্যাল কারণে জামিন না চেয়ে আইনজীবী মো. মজিবুর রহমান পরীমনির সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। অন্যদিকে পাবলিক প্রসিকিউট (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু আসামি পরীমনির সঙ্গে তার আইনজীবীদের কথা বলার আবেদনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালত দেখা করার আবেদন নাকচ করে পরীমনিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে নতুন মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয় বলে জানানো হয়। তার ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস, ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
তার পরদিন গত ৫ আগস্ট র্যাব বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় পরীমনি ও তার সহযোগী বিপুর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলায় করেন৷ ওইদিন পরীমনি ও তার সহযোগীর চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় গত ১০ আগস্ট পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুর দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ১৩ আগস্ট দ্বিতীয় দফার রিমান্ড শেষে পরীমনি ও তার সহযোগী দিপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, পরীমনি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি মিনি বার তৈরি করেন। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। আর চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরো অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের সরবরাহ করত এবং পার্টিতে অংশ নিতেন।
পরীমনি ২০১৪ সালে সিনেমা জগতে আসেন। এপর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও ৫/৭ টি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। প্রযোজক রাজ তাকে পিরোজপুর থেকে ঢাকায় সিনেমা জগতে নিয়ে আসেন।
Leave a Reply